ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | স্বাগতম......

ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

স্থাপিতঃ ১৯৬২ খ্র্রিঃ

MENU 
slide1.png slide2.png slide3.jpg slide41.jpg 1.jpg 2.jpg 4.jpg 6.jpg 3.jpg 7.jpg 8.jpg 9.jpg 11.jpg 21.jpg 31.jpg 41.jpg

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও ইতিহাস

প্রতিষ্ঠাতা’র পরিচয়:
সমাজের অগ্রগতি শিক্ষার দ্বারা, শিক্ষার অভাবে সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত। শিক্ষাই মাবনজীবনের দীপশিখা, শিক্ষাই জাতির প্রাণপ্রদীপ। অতএব যে সকল মহৎ লোক ত্যাগব্রত গ্রহণ করিয়া স্বীয় জীবন সমাজের কল্যাণে উৎসর্গ করিয়াছেন, তাহারা সমাজের অম্লান গৌরব ও ইতিহাসের অক্ষয় দীপস্তম্ভ। এমত এক জনহিতৈষী পুরুষ ছিলেন মুনশি সফিয়ল আলম, যার স্নেহনাম সজিল মুন্সী।

খ্রিস্টীয় উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে, (1920 খ্রি্স্টাব্দে) বঙ্গোপসাগরবিধৌত হাতিয়া দ্বীপের চর ঈশ্বর ইউনিয়নের পাঁচবিঘা নামক প্রত্যন্তগ্রামে তিনি আবির্ভূত হইলেন। পিতৃহৃদয়ে কৃষিকর্মে নিবদ্ধ আলী মিয়া মুনশি তাহার জনক; জননীর স্নেহকোলে শৈশবকাল অতিক্রান্ত হইল। বাল্যকালেই জ্ঞান অন্বেষণের নিমিত্তে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে তিনি যাত্রা করিলেন স্বন্দীপে, সেখানে বঙ্গজনের নিকট অতিপরিচিত ও ইসলামী শিক্ষায় সুখ্যাত বিদ্যাপীঠ বশিরিয়া আহমদিয়া আলহাজ্জ আবু বকর সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসায় পাঞ্জাম পর‌্যন্ত পড়া-লেখা করিলেন; তথাপি ভাগ্যের অনিবার‌্য টানে পুনরায় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করিতে হইল।

স্বীয় জন্মভূমিতে ফিরিয়া তিনি সমাজসেবায় আত্ননিয়োগ করিলেন। মানবপ্রেমই তাহার ধ্রুবনক্ষত্র, সমাজকল্যাণই তাহার জীবনমন্ত্র, শিক্ষার দীপ প্রজ্জলনই তাহার ব্রত। তাহার হৃদয়ে লালিত সপ্ন তাহাকে পরিচয় করিয়ে দেয় তৎকালীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট খান সাহেব ছৈয়দ আহাম্মদের সাথে। পরিচয়ের সূত্রধরে তাহার মেধা ও প্রজ্ঞা জনাব খানকে বশিভূত করে। ষাটের দশকে মুনশি সফিয়ল আলমকে নমিনেটেড মেম্বার হিসেবে নিযুক্ত করা হইলো।
খান সাহেব ছৈয়দ আহম্মদ এর বিয়োগান্তে তাহারই সুপুত্র মাছউদল হক খান খোকা মিঞা পরবর্তী ত্রিদশক চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর পদ অলঙ্কৃত করিলেন। শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সেবায় স্বীয় অবদান হেতু মুনশি সফিয়ল আলম তিন তিনবার মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়ে হাতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জনপদের দুর্দশাগ্রস্থ মানবের দুঃখমোচনে, অনগ্রসর জাতির শিক্ষা বিস্তারে ও নৈতিক উন্নতিতে আত্ননিয়োগ করিয়াছেন।শিক্ষা বিস্তরণে তাহার মহত প্রচেষ্টারই ফসল- ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান কেবল একটি বিদ্যাপীঠ নহে, ইহা সমগ্র অঞ্চলের অন্ধকার হবিরার প্রদীপ। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন হইতে সেক্রেটারি, সভাপতি প্রভৃতি গুরুদায়িত্ব তিনি পালন করিলেন। হাতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সামাজিক কর্মকান্ডে তাহার দান, ত্যাগ ও শ্রম অমোঘ প্রমাণ স্বরুপ। তাহার অদম্য প্রচেষ্ঠা ও অবিচল সাধনার ফলে 1988 সালে বিদ্যালয়টি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করিয়া এ অঞ্চলের শিক্ষাঙ্গনে এক নবদিগন্ত উন্মোচন করিল। ইহা প্রতিষ্ঠাতা মুনশি সফিয়ল আলম এর অনন্য কৃতিত্ব, যাহা তাহাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিবে।
শিক্ষা বিস্তারের অগ্নিশিখা জ্বালাইয়া তিনি তার ও স্বীয় পত্নীর নামে প্রতিষ্ঠা করিলেন ওছখালী এসটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। মাতৃস্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করিয়া স্থাপন করিলেন - পাঁচবিঘা মমিনের নেছা প্রাথমিক বিদ্যালয়। পত্নীসম্ভাষায় চরকৈলাশে প্রতিষ্ঠা করিলেন চরকৈলাশ তাহেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। পিতৃস্মরণে নির্মিত হইল ওছখালী আলিয়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যুক্ত পাঁচবিঘা আলীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। যাহা পিতার নামোচ্চারণে চিরস্মরণীয়। তদ্ব্যতীত দ্বীপস্থিত নানাস্থানে মসজিদ, মাদ্রসা ও হাট-বাজার প্রতিষ্ঠা করাইয়াছিলেন। জনসমাজহিতৈষী মানব সপ্তম জুলাাই, দ্ব্যাসাহস্র একাদশ খ্রিস্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করিয়া পরলোক গমন করিয়াছেন।

Demo Picture 4

Demo Picture 4

INFO

Demo Picture 3

Demo Picture 3

INFO

Demo Picture 1

Demo Picture 1

INFO